শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

পরলোকগত ছোট ভাইকে নিজের গোলটি উৎসর্গ করলেন রিতুপর্না

#
news image

দশরথ রঙ্গশালায় পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরতির পর বদলী হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড রিতুপর্না চাকমা। ম্যাচের ৭৭ তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার আচমকা শটের বল পাকিস্তানের গোলরক্ষক শাহিদ বুখারির মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এতেই বেড়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধান। ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়লাভ করে লাল সবুজের দল।  
কিন্তু এমন একটি গোলের পর সতীর্থরা যখন সেটি উদযাপনে ব্যস্ত, তখন ম্লান চেহারা নিয়ে রিতুপর্না হাতজোড় করে তাকিয়ে ছিলেন আকাশের দিকে। ম্যাচ শেষে তার এমন আচরণের কারণ জানা যায়নি, কারণ দলের সঙ্গে টিম হোটেল চলে গিয়েছিলেন তিনি।
তবে আজ আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেয়ার পর তার সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। প্রথমেই তার এমন বিষন্ন উদযাপনের কারণ জানতে চাইলে রিতুপর্না চোখের জল আর সংবরণ করতে পারেননি। চোখ মুছতে মুছতেই তিনি বলেন,‘ আমর প্রয়াত ভাই পার্বন চাকমাকে গোলটি উৎসর্গ করেছিলাম। তাই ওই সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে ওর জন্য প্রার্থনা করলাম। সে এখন আর আমাদের মাঝে নেই। আমার ওই ছোট ভাই সব সময় আমার খেলা দেখতো। ভাল খেললে আমাকে অভিনন্দন জানাতো। খেলা খারাপ হলে কোথায় সমস্যা তাও জানিয়ে দিতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করে সেই ভাইকে খুব মনে পড়েছিল। আমার ভাইকে সব সময় মনে পড়ে।’
পরিবারে চার বোনের একমাত্র ভাই ছিল পার্বন চাকমা। বোনের খেলা নিয়ে তার ছিল অনেক উৎসাহ। গত ৩০ জুন রাঙামাটির কাউখালিতে সেচপাম্প ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় পার্বন চাকমা। ভাইকে হারানোর পর প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে দেশের বাইরে এসেছেন রিতুপর্ণা চাকমা। তিনি বলেন, ‘ভাই আমার খেলা দেখার জন্য পাগল থাকতো। আমাকে নিয়ে গর্ব করতো। আমার সব খেলা দেখতো। আমার কত আদরের ভাই ছিল, তা বলে বুঝাতে পারবো না। কিন্তু সেই ভাই আজ নেই। ওর জন্য আজও আমি কাঁদি। মনের অজান্তেই চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। আমি কোনদিন ভাইকে ভুলতে পারবো না।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরেই নিজের ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন রিতুপর্না। সেখানে তিনি ভাইকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,‘ আজকের এই গোলটা তোকে উৎসর্গ করলাম। তুই থাকলে হয়তো দেখতে পারতি। খুব মিস করছি তোকে। ওপারে ভালো থাাকিস ভাই আমার।’

প্রভাতী খবর ডেস্ক

১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  10:34 PM

news image

দশরথ রঙ্গশালায় পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরতির পর বদলী হিসেবেই মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড রিতুপর্না চাকমা। ম্যাচের ৭৭ তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার আচমকা শটের বল পাকিস্তানের গোলরক্ষক শাহিদ বুখারির মাথার ওপর দিয়ে আশ্রয় নেয় জালে। এতেই বেড়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের ব্যবধান। ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়লাভ করে লাল সবুজের দল।  
কিন্তু এমন একটি গোলের পর সতীর্থরা যখন সেটি উদযাপনে ব্যস্ত, তখন ম্লান চেহারা নিয়ে রিতুপর্না হাতজোড় করে তাকিয়ে ছিলেন আকাশের দিকে। ম্যাচ শেষে তার এমন আচরণের কারণ জানা যায়নি, কারণ দলের সঙ্গে টিম হোটেল চলে গিয়েছিলেন তিনি।
তবে আজ আর্মি হেডকোয়ার্টার মাঠে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেয়ার পর তার সঙ্গে কথা হয় গণমাধ্যম কর্মীদের। প্রথমেই তার এমন বিষন্ন উদযাপনের কারণ জানতে চাইলে রিতুপর্না চোখের জল আর সংবরণ করতে পারেননি। চোখ মুছতে মুছতেই তিনি বলেন,‘ আমর প্রয়াত ভাই পার্বন চাকমাকে গোলটি উৎসর্গ করেছিলাম। তাই ওই সময় সৃষ্টিকর্তার কাছে ওর জন্য প্রার্থনা করলাম। সে এখন আর আমাদের মাঝে নেই। আমার ওই ছোট ভাই সব সময় আমার খেলা দেখতো। ভাল খেললে আমাকে অভিনন্দন জানাতো। খেলা খারাপ হলে কোথায় সমস্যা তাও জানিয়ে দিতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করে সেই ভাইকে খুব মনে পড়েছিল। আমার ভাইকে সব সময় মনে পড়ে।’
পরিবারে চার বোনের একমাত্র ভাই ছিল পার্বন চাকমা। বোনের খেলা নিয়ে তার ছিল অনেক উৎসাহ। গত ৩০ জুন রাঙামাটির কাউখালিতে সেচপাম্প ঠিক করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় পার্বন চাকমা। ভাইকে হারানোর পর প্রথম কোন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে দেশের বাইরে এসেছেন রিতুপর্ণা চাকমা। তিনি বলেন, ‘ভাই আমার খেলা দেখার জন্য পাগল থাকতো। আমাকে নিয়ে গর্ব করতো। আমার সব খেলা দেখতো। আমার কত আদরের ভাই ছিল, তা বলে বুঝাতে পারবো না। কিন্তু সেই ভাই আজ নেই। ওর জন্য আজও আমি কাঁদি। মনের অজান্তেই চোখের জল গড়িয়ে পড়ে। আমি কোনদিন ভাইকে ভুলতে পারবো না।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার পরেই নিজের ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন রিতুপর্না। সেখানে তিনি ভাইকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন,‘ আজকের এই গোলটা তোকে উৎসর্গ করলাম। তুই থাকলে হয়তো দেখতে পারতি। খুব মিস করছি তোকে। ওপারে ভালো থাাকিস ভাই আমার।’