শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল মানবাধিকার সংস্থা চেয়ারম্যান কে প্রাণনাশের হুমকি আদালতে মামলা জাতিসংঘে নারী সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জবাবদিহিতাপূর্ণ ফোরাম গঠনের আহ্বান বাংলাদেশের বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ারের পরিবেশক সম্মেলন: কৃষি উন্নয়নে নতুন উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল নিটোরে অর্থ বছরে সাড়ে ৩কোটি টাকার অষুধ ক্রয় করে যা বিগত ৩০ বছরেও হয়নি ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের চেষ্টা , অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি ‘বাবা নেই’ ভিডিও গানের মোড়ক উন্মোচন আগামী পাঁচ বছরে শীর্ষে থাকবে ইমপিরিয়াল লক্ষ্য প্রতিষ্ঠাতার

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৫০০০ রান ক্লাবে মুশফিক

#
news image

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রান ক্লাবের সদস্য হলেন  ডান-হাতি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। 
এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে মুশফিকের পরিসংখ্যান ছিলো, ৮০ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯৩২ রান। ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে মুশফিক প্রয়োজন ছিলো ৬৮ রান।

মাইলফলকটা আগেই ছুঁতে পারতেন তামিম ইকবাল। গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ৮৫ রান করেই তিনি টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। পেছনে ফেলেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে। তামিম এরপর পেয়েছেন দারুণ এক শতরান। কিন্তু নিজের ইনিংসটি অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ১৩৩ রানের মাথায় হাতের পেশির চোটে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন। অথচ নিজের সংগ্রহটাকে ১৫২ রানে নিতে পারলেই আরও বড় মাইলফলক নিজের করে নিতে পারতেন — প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রান।

একদিক দিয়ে অবশ্য তামিম মুশফিকের চেয়ে এগিয়েই থাকবেন। তিনি পাঁচ হাজারের সুবাস পাচ্ছিলেন নিজের ৬৬তম টেস্টে এসে, পাঁচ হাজারেও নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবেন মুশফিকের চেয়ে অনেক কম টেস্ট খেলেই। কারণ, মুশফিকের এটি ৮১তম টেস্ট। টেস্ট ক্যারিয়ারও তামিমের চেয়ে মুশফিকেরই লম্বা। তামিমের টেস্ট অভিষেক যেখানে ২০০৮ সালে, মুশফিক সেখানে প্রথম টেস্ট খেলেছেন ২০০৫ সালের এই মে মাসেই। মুশফিকের সমসাময়িক অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনো নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন, এমন খেলোয়াড় বিশ্ব ক্রিকেটেই বিরল।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রানের মালিক ছিলেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক হাজার, ২০০৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই হাজার এবং ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন হাজারি ক্লাবে জায়গা করে নেন বাশার।

এরপর চার হাজারি ক্লাবের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দশটি বছর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের ক্লাবে নাম তোলেন তামিম ইকবাল। এর চার বছরের মাথায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ হাজারের দরজা খুললেন মুশফিক।

২০০৫ সালের মে মাসে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক মুশফিকের। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৮১টি। ১৪৯ ইনিংস লেগেছে তাঁর পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে।

টেস্ট ক্রিকেটে ৭টি শতক মুশফিকের। অর্ধশতক ২৬টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২১৯। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

টেস্ট ক্রিকেটে নিজ দেশের হয়ে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানো ক্রিকেটারদের নাম দেখলে গর্বিত হওয়ারই কথা যে কারোর। ডন ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া), জ্যাক হবস (ইংল্যান্ড), স্যার গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সুনীল গাভাস্কার, জহির আব্বাস (পাকিস্তান), অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা), গ্যারি কারস্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), জন রাইট (নিউজিল্যান্ড) — এই নামগুলোর সঙ্গে রেকর্ড বইয়ে লেখা হয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের নামও।

টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের কোনো ক্রিকেটারেরই ৫০০০ রান নেই। তাদের সর্বোচ্চ রান অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের — ৪৭৯৪। প্রথম জিম্বাবুইয়ান হিসেবে পাঁচ হাজার রান থেকে ২০৬ দূরত্বেই যে স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় তাঁর।

প্রভাতী খবর ডেস্ক

১৮ মে, ২০২২,  11:43 PM

news image

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রান ক্লাবের সদস্য হলেন  ডান-হাতি ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। 
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন মুশফিক। 
এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে মুশফিকের পরিসংখ্যান ছিলো, ৮০ টেস্টে ৭টি সেঞ্চুরি ও ২৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪৯৩২ রান। ৫ হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করতে মুশফিক প্রয়োজন ছিলো ৬৮ রান।

মাইলফলকটা আগেই ছুঁতে পারতেন তামিম ইকবাল। গতকাল চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন ৮৫ রান করেই তিনি টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। পেছনে ফেলেছিলেন মুশফিকুর রহিমকে। তামিম এরপর পেয়েছেন দারুণ এক শতরান। কিন্তু নিজের ইনিংসটি অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ১৩৩ রানের মাথায় হাতের পেশির চোটে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন। অথচ নিজের সংগ্রহটাকে ১৫২ রানে নিতে পারলেই আরও বড় মাইলফলক নিজের করে নিতে পারতেন — প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রান।

একদিক দিয়ে অবশ্য তামিম মুশফিকের চেয়ে এগিয়েই থাকবেন। তিনি পাঁচ হাজারের সুবাস পাচ্ছিলেন নিজের ৬৬তম টেস্টে এসে, পাঁচ হাজারেও নিশ্চয়ই পৌঁছে যাবেন মুশফিকের চেয়ে অনেক কম টেস্ট খেলেই। কারণ, মুশফিকের এটি ৮১তম টেস্ট। টেস্ট ক্যারিয়ারও তামিমের চেয়ে মুশফিকেরই লম্বা। তামিমের টেস্ট অভিষেক যেখানে ২০০৮ সালে, মুশফিক সেখানে প্রথম টেস্ট খেলেছেন ২০০৫ সালের এই মে মাসেই। মুশফিকের সমসাময়িক অভিষিক্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে এখনো নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন, এমন খেলোয়াড় বিশ্ব ক্রিকেটেই বিরল।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম এক হাজার, দুই হাজার ও তিন হাজার রানের মালিক ছিলেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক হাজার, ২০০৪ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দুই হাজার এবং ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন হাজারি ক্লাবে জায়গা করে নেন বাশার।

এরপর চার হাজারি ক্লাবের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় দশটি বছর। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে চার হাজার রানের ক্লাবে নাম তোলেন তামিম ইকবাল। এর চার বছরের মাথায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ হাজারের দরজা খুললেন মুশফিক।

২০০৫ সালের মে মাসে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক মুশফিকের। ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে টেস্ট খেলেছেন ৮১টি। ১৪৯ ইনিংস লেগেছে তাঁর পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁতে।

টেস্ট ক্রিকেটে ৭টি শতক মুশফিকের। অর্ধশতক ২৬টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২১৯। ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

টেস্ট ক্রিকেটে নিজ দেশের হয়ে পাঁচ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানো ক্রিকেটারদের নাম দেখলে গর্বিত হওয়ারই কথা যে কারোর। ডন ব্র্যাডম্যান (অস্ট্রেলিয়া), জ্যাক হবস (ইংল্যান্ড), স্যার গ্যারি সোবার্স (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), সুনীল গাভাস্কার, জহির আব্বাস (পাকিস্তান), অরবিন্দ ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা), গ্যারি কারস্টেন (দক্ষিণ আফ্রিকা), জন রাইট (নিউজিল্যান্ড) — এই নামগুলোর সঙ্গে রেকর্ড বইয়ে লেখা হয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের নামও।

টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের কোনো ক্রিকেটারেরই ৫০০০ রান নেই। তাদের সর্বোচ্চ রান অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের — ৪৭৯৪। প্রথম জিম্বাবুইয়ান হিসেবে পাঁচ হাজার রান থেকে ২০৬ দূরত্বেই যে স্বৈরশাসক রবার্ট মুগাবের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় তাঁর।