ডেঙ্গুতে মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
অনলাইন ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২২, 3:27 AM
ডেঙ্গুতে মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড
বাংলাদেশে নভেম্বর মাসের এই ২১ দিনেই ডেঙ্গুতে ৯৩ জন মারা যায়। যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে এইডিস মশাবাহিত এই রোগে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি নভেম্বরের নয় দিন বাকি থাকতেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল।
২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মোট ১৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জানায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জন মারা গিয়েছিল।
এবছরএক মাস বাকি থাকতেই মৃতের মোট সংখ্যা ২৩৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে ৮৬ জন, জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
এ পর্যন্ত যে ২৩৪ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যায় ডেঙ্গুতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাদের তিনজন ঢাকার এবং একজন বরিশাল বিভাগের।
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে দেশে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৪১৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৭ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ১৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৩৫১ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৫৮ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৯৩ জন।
বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
এ বছর অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
অনলাইন ডেস্ক
২২ নভেম্বর, ২০২২, 3:27 AM
বাংলাদেশে নভেম্বর মাসের এই ২১ দিনেই ডেঙ্গুতে ৯৩ জন মারা যায়। যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে এইডিস মশাবাহিত এই রোগে ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি নভেম্বরের নয় দিন বাকি থাকতেই সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল।
২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মোট ১৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা জানায়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জন মারা গিয়েছিল।
এবছরএক মাস বাকি থাকতেই মৃতের মোট সংখ্যা ২৩৪ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে অক্টোবর মাসে ৮৬ জন, জুন মাসে ১ জন, জুলাই মাসে ৯ জন, অগাস্ট মাসে ১১ জন এবং সেপ্টেম্বরে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।
এ পর্যন্ত যে ২৩৪ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালে ৭ জন এবং ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যায় ডেঙ্গুতে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাদের তিনজন ঢাকার এবং একজন বরিশাল বিভাগের।
সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতুন ভর্তি রোগীদের নিয়ে দেশে এ বছর ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৪১৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩১৭ জন। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি ১৭২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এছাড়া ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৫৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩১ জন, রাজশাহী বিভাগে ১০ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৩৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সবশেষ ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২ হাজার ৩৫১ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ২৫৮ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১ হাজার ৯৩ জন।
বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে। তবে এ বছর এ রোগের প্রকোপ বেড়েছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে।
এ বছর অক্টোবর মাসে সবচেয়ে বেশি ২১ হাজার ৯৩২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।