শিরোনামঃ
জুড়ীতে ভূয়া রশিদ দিয়ে কুরবানীর পশু বিক্রির অভিযোগ মোমিনের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নাকচ করায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের বিক্ষোভ মিছিল বর্হিবিশ্বে লন্ডনে স্হাপিত জাতির পিতার ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ সামন্তলাল সেন সহকর্মীর শ্লীলতাহানীর পরও বহাল তবিয়তে এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ বিটিএ’র পক্ষ থেকে নব নিযুক্ত পরিচালককে অভিনন্দন বিকাশ দেওয়ান ছিলেন একজন সফল এমডি জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ কক্সবাজার বঙ্গবন্ধু বীচ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বীচ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল শ্রমিক নেতৃবৃন্দের শ্রদ্ধা

করোনা ছড়াচ্ছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা

#
news image

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার মহামারীতে সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কিত । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার মহামারী ঠেকাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই মহামারি ঠেকাতে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অনেক পিছিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই করোনার মহামারী ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে অনেক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। করোনার মহামারীতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল সেই অবস্থাতেও সরকার দেশের জনগণকে রক্ষার জন্য লকডাউনের মত কর্মসূচিও দিতে বাধ্য হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরও অফিসিয়াল কার্যক্রম বিধিনিষেধের আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। করোনা মহামারির মধ্যে সরকারি কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা যাতে করোনায় আক্রান্ত না হয় এবং সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মাধ্যমে অন্য কেউ যাতে আক্রান্ত না হয় সেই জন্য সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে নিজ বাড়িতে বা হসপাতালে কুয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রের এই সকল বিধি নিষেধের ব্যক্তই ঘটিয়ে স্বয়ং সরকারি কর্মকর্তাই করোনা পজেটিভ থাকার পরও প্রধান প্রকৌশলীর সভায় উপস্থিত হয়েছেন। এরকম এ ঘটনা ঘটিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সভার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। উল্লেখিত নোটিশে বলা হয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরাধীন ৭টি জোনের সার্বিক কার্যক্রম, অডিট এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর প্রধান প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর সভাপতিতে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ই ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জোন অফিসে গোপালগঞ্জ জোন, বরিশাল জোন এবং খুলনা জনের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে ১)জনাব শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ, পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইং ২)জনাব মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ, ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস উইং ৩)জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সওজ, প্রক্রিয়মেন্ট সার্কেল ৪) জনাব জাহাঙ্গীর আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, (চলতি দায়িত্ব) ,সওজ, প্রশাসন ও স্থাপন উইং উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায় উক্ত সভায় গোপালগঞ্জ জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম করোনা পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও তিনি উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম বেশ কিছুদিন যাবত শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে তিনি গোপালগঞ্জ সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্ট করেন । গত ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে করোনা টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করে উক্ত রিপোর্টে দেখা যায় মোঃ সাদিকুর ইসলাম করোনা পজিটিভ। করোনা পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম সরকারের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেই উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা শেষে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে এবং উক্ত সবাই যে সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি পরিদর্শন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। জানা যায় গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর ইসলামের করোনাই আক্রান্ত হওয়ার খবর তিনি আগেই জানতেন তারপরও প্রকৌশলী সাদিকুর ইসলামকে উক্ত সবাই উপস্থিত না থাকার জন্য নিষেধ করেননি।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি শারীরিক এই সমস্যার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এসব কিছু মিথ্যা কথা এগুলো  ইনফরমেশন সঠিক নয়।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না । অবগত থাকলে প্রোগ্রাম ওনাকে এটেন্ড করতে নিষেধ করতাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩,  5:13 PM

news image

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনার মহামারীতে সারা বিশ্ব এখন আতঙ্কিত । বিশ্বের বিভিন্ন দেশ করোনার মহামারী ঠেকাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এই মহামারি ঠেকাতে সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে অনেক পিছিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই করোনার মহামারী ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন সময়ে অনেক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। করোনার মহামারীতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন টালমাটাল সেই অবস্থাতেও সরকার দেশের জনগণকে রক্ষার জন্য লকডাউনের মত কর্মসূচিও দিতে বাধ্য হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাদেরও অফিসিয়াল কার্যক্রম বিধিনিষেধের আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। করোনা মহামারির মধ্যে সরকারি কর্মচারী এবং কর্মকর্তারা যাতে করোনায় আক্রান্ত না হয় এবং সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাদের মাধ্যমে অন্য কেউ যাতে আক্রান্ত না হয় সেই জন্য সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে নিজ বাড়িতে বা হসপাতালে কুয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রের এই সকল বিধি নিষেধের ব্যক্তই ঘটিয়ে স্বয়ং সরকারি কর্মকর্তাই করোনা পজেটিভ থাকার পরও প্রধান প্রকৌশলীর সভায় উপস্থিত হয়েছেন। এরকম এ ঘটনা ঘটিয়েছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী। গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সভার নোটিশ প্রকাশ করা হয়। উল্লেখিত নোটিশে বলা হয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরাধীন ৭টি জোনের সার্বিক কার্যক্রম, অডিট এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা ও সমসাময়িক অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর প্রধান প্রকৌশলী সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর সভাপতিতে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। গত ৯ই ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ জোন অফিসে গোপালগঞ্জ জোন, বরিশাল জোন এবং খুলনা জনের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সভাপতি হিসেবে প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে ১)জনাব শোয়েব আহমেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ, পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণ উইং ২)জনাব মোঃ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সওজ, ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস উইং ৩)জনাব মোঃ আবুল কালাম আজাদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সওজ, প্রক্রিয়মেন্ট সার্কেল ৪) জনাব জাহাঙ্গীর আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, (চলতি দায়িত্ব) ,সওজ, প্রশাসন ও স্থাপন উইং উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায় উক্ত সভায় গোপালগঞ্জ জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম করোনা পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও তিনি উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম বেশ কিছুদিন যাবত শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে তিনি গোপালগঞ্জ সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্ট করেন । গত ৬ই ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে করোনা টেস্টের রিপোর্ট প্রদান করে উক্ত রিপোর্টে দেখা যায় মোঃ সাদিকুর ইসলাম করোনা পজিটিভ। করোনা পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও প্রকৌশলী মোঃ সাদেকুর ইসলাম সরকারের বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেই উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং সভা শেষে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে এবং উক্ত সবাই যে সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি পরিদর্শন এবং দোয়া ও মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন। জানা যায় গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর ইসলামের করোনাই আক্রান্ত হওয়ার খবর তিনি আগেই জানতেন তারপরও প্রকৌশলী সাদিকুর ইসলামকে উক্ত সবাই উপস্থিত না থাকার জন্য নিষেধ করেননি।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাদিকুর ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি শারীরিক এই সমস্যার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এসব কিছু মিথ্যা কথা এগুলো  ইনফরমেশন সঠিক নয়।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী বলেন আমরা এ বিষয়ে অবগত ছিলাম না । অবগত থাকলে প্রোগ্রাম ওনাকে এটেন্ড করতে নিষেধ করতাম।